মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনের দু’মামলায় সাতদিনের রিমান্ড শেষে রোববার (১৩ অক্টোবর) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
অপরদিকে খালেদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছি আহসান চৌধুরীর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৭ অক্টোবর তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে মাদক ও অস্ত্র আইনের অপর দু’মামলায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় সাতদিন ও ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের জন্য তাকে রিমান্ডে পাঠান আদালত।
ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গুলশান থেকে ক্লাবের সভাপতি খালেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র (এর মধ্যে একটি অবৈধ), গুলি এবং ইয়াবা জব্দ করা হয়।
ক্যাসিনো থেকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক এবং ২৪ লাখ নগদ টাকা, বিদেশি মদ, ক্যাসিনো বোর্ড জব্দ করার পর খালেদকে গ্রেফতার করে। তার নামে গুলশান ও মতিঝিল থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে মোট চারটি মামলা করা হয়।
গ্রেফতারের দু’দিন পর গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে খালেদকে বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
কেআই/এএটি