হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত এ কমিটির প্রতিবেদন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আদালতে রোববার (২০ অক্টোবর) দাখিল করেছেন।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে আদালত এ ঘটনা তদন্ত করতে বলেছিলেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে শৈথিল্য প্রদর্শনের সুযোগ নাই। কারণ জাতির পিতা এবং প্রধানমন্ত্রী ছবি বিকৃত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেছিলেন যশোর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বিপুল। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, উপাচার্যের (ভিসি) লিখিত বক্তব্য, উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বক্তব্য, ভিসি কার্যালয়ে রক্ষিত কাগজপত্র ও পরিবেশ পরিস্থিতি এবং এ রিট দাখিলকারীর বক্তব্য পর্যালোচনা করা হয়। তাছাড়া ডেস্ক ক্যালেন্ডারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সার্বিক পর্যালোচনায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ২০১৮ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি এবং ২০১৯ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে তারা দায়িত্ব পালন করেননি।
তদন্ত প্রতিবেদনের মন্তব্য অংশে বলা হয়, এক- ২০১৮ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির জনকের ছবির উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নাম লেখা সমীচিন হয়নি। এজন্য কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
দুই- ২০১৯ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডার পুনঃমুদ্রিত। পূর্বের (প্রথম) প্রিন্ট করা কপিতে জাতির জনকের ছবি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিদ্র করে স্পাইরাল বাইন্ডিং করা হয়েছে। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি (ছবির মাথা কেটে) বিকৃত করা হয়েছে। তা প্রথম মুদ্রিত ডেস্ক ক্যালেন্ডার থেকে স্পষ্টতই প্রমাণ পাওয়া যায়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারে ক্ষেত্রে যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল, তা করেননি। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই তারা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। তাদের ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বর করা উচিত ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০,২০১৯
ইএস/এমএ