এ সংক্রান্ত রুল শুনানির সময় রোববার (২০ অক্টোবর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, এর আগে হাইকোর্ট ২৯ আগস্ট যারা শতকরা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের সুবিধা নেবেন তারা আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত আর কোনো ব্যাংক থেকে নতুন ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন না মর্মে আদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন। আজ শেষ দিন হওয়ায় নতুন করে আবার মেয়াদ বাড়িয়েছেন।
গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। এরপর রিটকারীদের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২১ মে ওই সার্কুলারের উপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজার রাখার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ৮ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। ৮ জুলাই এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ২ মাস বাড়ান। তবে যারা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের সুবিধা নেবেন, তারা নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন না। এছাড়া বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন কোর্টে এ রিট মামলা শুনানি করতে বলেন।
সে আদেশ অনুসারে রিট মামলাটি উক্ত আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। রুল শুনানি অবস্থায় ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে আদালতের আদেশের কয়েকবার বাড়িয়েছেন।
মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এর মধ্যে গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। তখন এই রিটে ওই সার্কুলারের বিষয়ে সম্পুরক আবেদন করেন মনজিল মোরসেদ।
পরবর্তীতে ২৪ জুন বাংলাদেশ সিলগালা করে ঋণখেলাপিদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯/আপডেট ০৮৪৮ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস/এইচএ/