সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় দেন।
এছাড়া এ মামলার দুই আসামি তাসলিমা আক্তার ও শামীম ওরফে ফয়সাল বিন রুহুলকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং জয়নাল আবেদীন ওরফে ফালু নামে একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে মহুব, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভূঁইয়া, এমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, ভুলন ভূঁইয়া ওরফে ভুলু, রুহুল আমিন, শিপন মিয়া, সুলতানা আক্তার, দেলোয়ার হোসেন, বিধান সন্যাসী ও নিলুফা আক্তার।
আসামিদের মধ্যে সুলতানা, দেলোয়ার, বিধান ও নিলুফা পলাতক। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহাবুবুর রহমান রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদী অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন ও প্রতিবন্ধী শিশু পাঠশালা নামে প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারি ও ভিকটিম মোবারক হোসেন ভূঁইয়া ছিলেন নির্বাহী কমিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। আসামিরা দীর্ঘদিন থেকে ওই প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের বিরোধিতা করে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানের সংস্কারমূলক কাজ করতে গেলে আসামিরা কাজ বন্ধ করে দেন। এরপর ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামিরা প্রতিষ্ঠানটি ভাঙচুর করতে যান। এতে বাধা দিলে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম মোবারক হোসেন ভূঁইয়াকে তারা হত্যা করেন।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর মোবারক হোসেনের ছোট ভাই মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল ৩১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামিদের মধ্যে ১১ জন সাফাই সাক্ষী দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯, আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা
কেআই/আরবি/