মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জয়পুরহাট নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এ বি এম মাহমুদুল হক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আক্কেলপুর উপজেলার মারমা পূর্ব পাড়ার সোহেল তালুকদার (২৭), একই উপজেলার দেওরা সোনার পাড়ার আফজাল হোসেন (৫০), দেওড়া গুচ্ছগ্রামের আব্দুর রাহিম, দেওরা সাখিদার পাড়ার ফেরদৌস আলী সাখিদার (৪৪), দেওরা সোনার পাড়ার মজিবর রহমান সোনার, জগতি পাড়ার রুহুল আমিন (৩৭) ও দেওরা গুচ্ছগ্রামের আজিজার রহমান (৫২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আক্কেলপুর উপজেলার গুচ্ছগ্রামে বসবারত উজ্জল মহন্ত তার বড় ছেলে উৎপল মহন্তকে নিয়ে চট্টগ্রামে কর্মকারের কাজ করতেন। এরই মধ্যে ২০১৬ সালে ৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে আরতী রাণী প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে বের হলে কয়েকজন লোক জোড়পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা তার মেয়ে অর্চনা রাণীর চিৎকারে প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীরা তাকে খুঁজতে থাকে। এক সময় তাকে রাত ১০টার দিকে পোড়া পুকুরের পশ্চিম পাড়ের একটি ধান ক্ষেত থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাকে বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আরতী রাণীর স্বামী বাদী হয়ে আক্কেলপুর থানায় ১০ অক্টোবর সাখিদার পাড়ার ফেরদৌস ও মারমার সোহেলসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনের নামে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (৩) ধারামতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আদালতে সাতজনের নাম উল্লেখ করে চার্জশিট জমা দিলে ১৯ জন স্বাক্ষীর শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম তরুণ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
আরএ/এসএইচ