আগামী বৃহস্পতিবারের (৩১ অক্টোবর) মধ্যে আইনজীবীরা গ্রামীণফোনের ইনস্ট্রাকশন নিয়ে তা আদালতকে জানাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ শুনানি মুলতবি করেন।
আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শরীফভূঁইয়া ও আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন।
বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
পরে ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, কোর্ট এখনও পুরোপুরি কোনো অর্ডার দেয়নি। তবে গ্রামীণফোনের আইনজীবীদের ইনস্ট্রাকশন নিতে বলেছেন- গ্রামীণফোন কত টাকা দিতে পারবে এখন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এটা জানাতে হবে।
দাবি আদায়ের ওপর হাইকোর্টের দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এর আগে গত ১৭ অক্টোবর বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি প্রায় ১২ হাজার ৫শ ৮০ কোটি টাকা দাবি আদায়ের ওপর দু’মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞাদেন। গ্রামীণফোনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞাসহ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আগামী ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
পরে গ্রামীণফোনের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি আদায়ের ওপর হাইকোর্টের দু’মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
পড়ুন>>গ্রামীণফোন: হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত চেয়েছে বিটিআরসি
১৭ অক্টোবর তানিম হোসেইন শাওন বলেছিলেন, চলতি বছরের ২ এপ্রিলবিভিন্ন খাতে ১২ হাজার ৫শ ৮০ কোটি টাকা দাবি করে বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়েছিল। পরে গ্রামীণফোন ওই চিঠির বিষয়ে নিম্ন আদালতে টাইটেল স্যুট (মামলা) করে। একই সঙ্গে ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।
পরে ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণফোনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনখারিজ করে দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন।
শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে টাকা আদায়ের ওপর দু’মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন বলে জানান তানিম হোসেইন শাওন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
ইএস/এএ