রোববার (২৭ অক্টোবর) তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
গত ১৭ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজমের পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেন।
রোববার তৃতীয় দিনের মতো জেরার মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, তাহরিম কাদরি নামে একজন সাক্ষীকে পুনরায় জেরার আবেদন করা হয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর আদালত ওই সাক্ষীকে পুনরায় আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওইদিনই রিকল করা সাক্ষীর জেরা ও আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আদালত দিন ধার্য রেখেছেন।
এ মামলায় সবমিলিয়ে ১১৩ জন এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির। তিনি জানান, এখন আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের পর যুক্তিতর্কের মাধ্যমে মামলার বিচার শেষ হবে। এরপর মামলার রায় ঘোষণা করবেন আদালত।
এই মামলার আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ।
এছাড়া বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জঙ্গি নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর। একই বছর ৮ আগস্ট চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। পরে ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ হামলার বিচার শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
কেআই/এএ