সোমবার (৪ নভেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ শেভরনকে ছাড় না দিতে পেট্রোবাংলাকে ইতিপূর্বে যে আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তাও প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট।
এতে পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী ওই লভ্যাংশের ৫ শতাংশ পাওয়ার পথ খুলেছে। যেখানে অর্থের পরিমাণ প্রায় ৭২ মিলিয়ন ডলার। টাকায় অন্তত ৬শ’ কোটি পরিমাণের এই অর্থ এখন সমানভাবে সবাই পাবেন।
আদালতে শেভরনের পক্ষে ছিলেন ড. নাইম আহমেদ। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ওমর সাদাত।
পরে ওমর সাদাত জানান, শ্রম আইন- ২০০৬ অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে। কিন্তু শেভরন ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কোনো লভ্যাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের দেয়নি। এ কারণে রিট আবেদন করা হয়। ইতোমধ্যেই উভয়পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। এটা আদালতকে জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় আদালত রায় দেন।
এর আগে শ্রমিকদের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ শ্রম আইনের বিধান অনুসারে শ্রমিকদের বছরের পর বছর লভ্যাংশ না দেওয়ায় তেল-গ্যাস উত্তোলনকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেভরনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
ইএস/এইচএ/