সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে দুই মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।
এই মামলায় মিজানুর রহমান ও তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান কারাগারে আছেন।
মামলার পর ২ জুলাই পুলিশ মিজানকে জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। মাহমুদুল গত ৪ জুলাই আত্মসমর্পণ করলে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই মামলার বর্ণিত সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের সময় দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজে গণমাধ্যমে প্রকাশ করলে নতুন করে আলোচনায় আসেন পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। পরে ঘুষ লেনদেনের বিষয়েও মামলা হয়।
গত ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা ঢাকার এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই মামলায় মিজানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অন্যদিকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
কেআই/জেডএস