বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
আদালতে বিটিআরসির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল পাওনার অন্তত ৫০ ভাগ অর্থ গ্রামীণফোনকে জমা দেওয়ার কথা বলেন।
তবে, গ্রামীণফোনের আইনজীবী আদালতে দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ৩ অক্টোবরের বৈঠকে দুই দফায় ২০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন। সেই প্রস্তাবে দুই দফা টাকা দিলে গ্রামীণফোনের ওপর বিটিআরসির আরোপ করা প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে দেওয়ার শর্ত ছিল।
এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। পরে, এ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আপিল বিভাগে আবেদন করে।
১৭ অক্টোবর গ্রামীণফোনের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন বলেছিলেন, চলতি বছরের ২ এপ্রিল বিভিন্ন খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করে বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়েছিল। পরে, গ্রামীণফোন ওই চিঠির বিষয়ে নিম্ন আদালতে টাইটেল স্যুট (মামলা) করে। একই সঙ্গে, ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।
২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণফোনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন।
১৭ অক্টোবর আদালত আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে টাকা আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন বলে জানান তানিম হোসেইন শাওন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
ইএস/একে