ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন নিয়ে রুলের রায় বৃহস্পতিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন নিয়ে রুলের রায় বৃহস্পতিবার

ঢাকা: মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন-১৯৯৯ এর তিনটি (২গ, ৩ ও ৬) ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না মর্মে জারি করা রুলের ওপর রায় বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) ঘোষণা করা হবে।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় মামলাটি রায়ের জন্য ২৩ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

এর আগে ২১ নভেম্বর এ বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। রুল শুনানিতে আদালত বিশেষজ্ঞ মতামতও নিয়েছেন।

২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলে ওই আইনের অধীনে ১৮ বছরেও বিধি প্রণয়ন না করায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ফাতেমা জোহরা নামের এক ব্যক্তি।

আইনজীবীরা জানান, ফাতেমা জোহরা ২০১৫ সালে তার মেয়ে ফাহমিদাকে একটি কিডনি দান করেন। এরপরও মেয়ের কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। বর্তমানে ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। যা ব্যয়বহুল। কিন্তু আইনগত বাধার কারণে মেয়েকে দাতার কাছ থেকে কিডনি দিতে পারছেন না তিনি। এ অবস্থায় তিনি রিট আবেদন করেন।
 
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন-১৯৯৯-এর ২গ ধারায় দাতার সংজ্ঞা দেওয়া আছে। সংজ্ঞায় দাতা হিসেবে নিকটাত্মীয়দের কথা বলা আছে। আর নিকটাত্মীয় বলতে পিতা-মাতা, ভাই-বোন, পুত্র-কন্যা, চাচা, ফুফু, মামা, খালা ও স্বামী-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। কিন্তু ভারতে এ বিষয়ক আইনে নিকটাত্মীয়ের সংজ্ঞায় ওই ক’জন ছাড়াও নানা-নানি, দাদা-দাদি, খালাতো, মামাতো, চাচাতো ভাইবোনের কথা বলা আছে।  

‘এছাড়া ভারতের আইনে বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিকটাত্মীয় ছাড়াও অন্যরা দাতা হতে পারবে। এক্ষেত্রে ওই আইনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে কারা বিশেষ পরিস্থিতিতে দাতা হতে পারবে। ’

তিনি বলেন, আমাদের আইনে দাতাকে ১৮ বছর থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত বয়সের ব্যক্তি হতে হবে। মেডিক্যাল বোর্ডের ছাড়পত্র নিতে হবে। আইনের এ বাধ্যবাধকতার কারণে চিকিৎসা ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।