সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, রোববার (৮ ডিসেম্বর) সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছে।
গত ৫ অক্টোবর সম্রাটকে গ্রেফতার করার পর তার নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। দুটি মামলাতেই তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা। এর আগেই তার বিরদ্ধে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এবার মাদক মামলায়ও চার্জশিট দেওয়া হলো। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
গত ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র্যাব। সে সময় গ্রামের জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। পরদিন তাদের নিয়ে রাজধানীর নিজ নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে র্যাব।
এছাড়া আটকের সময় মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে গত ৭ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এরই মধ্যে আরমানকেও মাদক মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
কেআই/এইচজে