ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

পিইসিতে বহিষ্কৃতদের পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ, ডিজিকে তলব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
পিইসিতে বহিষ্কৃতদের পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ, ডিজিকে তলব

ঢাকা: প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) বহিষ্কার করা শিক্ষার্থীর পরীক্ষা ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য না জানানোয় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ৮ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তদরের মহাপরিচালককে (ডিজি) তলব করেছেন হাইকোর্ট।

ওইদিন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে তাকে আদালতে হাজির হতে হবে।  

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

পরে জামিউল হক ফয়সাল বলেন, বিবাদীদের বিষয়টি আদালতকে জানানোর কথা ছিলো। কিন্তু না জানানোর ফলে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা সব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল দিতে। পাশাপাশি প্রাথমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে হাইকোর্টে ৮ জানুয়ারি হাজির হতে হবে।    

এ সংক্রান্ত একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। রুলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

১০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ চারজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গত ১৯ নভেম্বর ‘পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনাম নামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল। তার সঙ্গে ছিলেন এম মাহমুদুল হাসান, গাজী ফরহাদ রেজা ও মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।


প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে 'শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা'র বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।  

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গত রোববার থেকে শুরু হওয়ার পর সোমবার (১৫-১৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১৫ শিশু বহিষ্কার হয়েছে। পরীক্ষায় অসাধুপন্থা অবলম্বন করার অভিযোগে এসব শিশুকে বহিষ্কার করা হয়।  

এ বিষয়ে নির্দেশনাও রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তবে শিক্ষাবিদ, মনোবিজ্ঞানী, শিক্ষক এমনকি অভিভাবকরা বলছেন, কোমলমতি শিশুদের এ ধরনের বহিষ্কার তাদের ওপর এক ধরনের মানসিক নির্যাতন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।