ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নুরদের বিরুদ্ধে মামলা শাহবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
নুরদের বিরুদ্ধে মামলা শাহবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ ফাইল ফটো

ঢাকা: ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের হত্যাচেষ্টা, ছিনতাইসহ কয়েকটি অভিযোগে দায়ের করা মামলা শাহবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মামলার এজাহারটি আদালতে আসে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এজাহারটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদারকে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী ডিএম সাব্বির হোসেন।  

ডিএমপির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) শেখ মো. শামীম জানান, ডাকসু ভিপি নুর বহিরাগতদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সদস্যদের ওপর হামলা করেছেন এমন অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৯ জনকে।  

আসামিরা হলেন- ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মুহাম্মদ রাশেদ খান, এপিএম সুহেল (জবি), আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মশিউর রহমান, আবু হানিফ, আমিনুল ইসলাম, তুহিন ফারাবী (ধানমন্ডি চাটার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ), মেহেদী হাসান, সালেহ উদ্দিন সিফাত (জসীম উদ্‌দীন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নাজমুল হাসান, আয়াতুল্লাহ বেহেশতী, রবিউল হোসেন, আরিফুর রহমান, সাইমুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, বিন ইয়ামিন মোল্লা, তারিকুল ইসলাম, আবদুল্লাহহীল বাকী, আকরাম হোসেন, আসিফ খান, সানাউল্লাহ হক, আতাউল্লাহ, শাকিল মিয়া, হাসানুল বান্না, রবীরুল ইসলাম, রাজ, আরিফুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২২ ডিসেম্বর আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে টেলিনরের রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ দেওয়ার প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মামুন-বুলবুল গ্রুপের কর্মসূচি চলছিল। কর্মসূচি শেষে মিছিল সহকারে তারা মধুর ক্যান্টিনে আসলে ডাকসু ভিপির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে আসলে নুরসহ বাকিরা অশালীন স্লোগান দিতে থাকেন। সনজিত-সাদ্দাম উস্কানিমূলক স্লোগান কেন দিচ্ছেন ভিপির কাছে জানতে গেলে ফের উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়া হয়। পরিস্থিতি খারাপ দেখে সনজিত-সাদ্দাম চলে যাওয়ার সময় উল্লেখিত আসামিরা হত্যার উদ্দেশে আঘাত করেন। এতে বাদীসহ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আটজন আহত হন। এসময় অনেকের মোবাইল, মানিব্যাগ ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
কেআই/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।