ওই যুবকের নাম শেখ রাসেল (২০)। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া থানার মঙ্গলসিদ্ধ গ্রামে।
এ ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক খান শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) তিনি বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাসেল কিছুটা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। তবে বারবার তিনি বলছেন, ওখানে দেখতে গিয়েছিলেন। আবার কখনও বলছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ওখানে গিয়েছিলেন।
‘আমরা তার এলাকায়ও খোঁজ-খবর নিচ্ছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মতো সংরক্ষিত এলাকায় তার এভাবে প্রবেশের কারণ সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ’
জানা যায়, ২২ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তিন ও চার নম্বর গেটের মাঝামাঝি কাঁঠাল গাছে উঠে দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশের সময় পড়ে যান শেখ রাসেল। পরে তাকে দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষীরা আটক করেন।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মিজানুর রহমান বাদী বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন। শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ রাসেল সেদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেয়াল থেকে ভেতরে পড়ে আহত হন। পড়ে থাকা অবস্থায় রাসেলকে এসপিবিএনের সহায়তায় এসএসএফ (অপারেশন) অফিসে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে বাদী পুলিশের এএসআই মিজানুর রহমান এসপিবিএনের অফিসে যান। তখন আসামি রাসেলকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নেওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। চিকিৎসা শেষে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
কেআই/এমএ/এজে