ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ভোলার ২৯ পদ সংরক্ষণের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ভোলার ২৯ পদ সংরক্ষণের নির্দেশ

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় মহিলা কোটায় ভোলা জেলায় ২৯টি পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 
 

ভোলা জেলার ২৯ জন প্রার্থীর দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
 
রুলে ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের চূড়ান্ত ফলাফলে মহিলা কোটায় শতকরা ৬০ ভাগ নিয়োগ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।


 
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ চারজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
 
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, সরকারি শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ বিধিতে বলা হয়েছে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করতে হবে। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলে ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। ওই ফলাফলে মহিলা প্রার্থীদের তুলনায় পুরুষ প্রার্থীদের বেশি নির্বাচিত করা হয়, যা বিধি লঙ্ঘন করে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। একইভাবে ভোলা জেলায় সর্বমোট ৩৪৪ প্রার্থীকে চূড়ান্ত ফলাফলে নির্বাচিত করা হয়। তার মধ্যে ১২৭ জন মহিলা ও ২১৭ জন পুরুষ প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু শতকরা ৬০ ভাগ মহিলা প্রার্থী হিসেবে লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ ২০৬ জন মহিলা প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার কথা। নিয়োগবঞ্চিত হওয়ায় ভোলা জেলার ২৯ জন প্রার্থী শতকরা ৬০ ভাগ মহিলা কোটায় নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।