ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সিলেটে নিয়োগ পেলেন রাষ্ট্রপক্ষের ৮৬ আইন কর্মকর্তা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
সিলেটে নিয়োগ পেলেন রাষ্ট্রপক্ষের ৮৬ আইন কর্মকর্তা

সিলেট: দীর্ঘ এক দশক পর সিলেটের আদালতগুলোতে কর্মরত রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাদের রদবদল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালতের সরকারি কৌশুলী, জিপি, পিপি, বিশেষ পিপি, অতিরিক্ত পিপি, এপিপি পদে পুরাতনদের সরিয়ে নতুন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ৮৬টি পদে রদবদল হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আইন বিচার ও সংসদীয় মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি/পিপি শাখা) থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

উপ-সলিউটর (জিপি-পিপি) মো. মনিরুজ্জামান এ নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সিলেট জেলা ম্যজিস্ট্রেট বরাবরে প্রেরণ করা হয়।

আইন ও বিচার বিভাগের সলিউটর অনুবিভাগের প্রেরিত স্মারকের তথ্য মতে, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা (পাবলিক প্রসিকিউটর-পিপি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন। আর সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে পেয়েছেন অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী।

এছাড়া বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে বিশেষ পিপি পদে অ্যাডভোকেট মো. মনির উদ্দিন, জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি পদে অ্যাডভোকেট মফুর আলী, দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি  অ্যাডভোকেট রশিদা সাঈদা খানম।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট এএফএম রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, অ্যাডভোকেট জামিনুল হক জামিল, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর, অ্যাডভোকেট শাসসুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট দীনা ইসলাম, অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার ও অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন।

আর মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি পদে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট সুয়েব আহমদ, অ্যাডভোকেট মঈনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট একেএম সামিউল আলম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন খান ও অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারি পিপি পদে অ্যাডভোকেট ফারুক আহমদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জুনেল আহমদ, অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান মানিক, অ্যাডভোকেট আলী মোস্তফা মিশকাতুন নূর, অ্যাডভোকেট মো. আলতাফ হোসেন, অ্যাডভোকেট মোস্তা শাহীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মোস্তাফা দেলোয়ার আল আজহার, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান সেলিম, অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হাই, অ্যাডভোকেট মো. আবদুল মজিদ খোকা, অ্যাডভোকেট এসএম পারভিন, অ্যাডভোকেট মো. আমজাদ আলী, অ্যাডভোকেট মাসুম আহমদ, অ্যাডভোকেট মো. আবদুস সাত্তার, অ্যাডভোকেট পান্না লাল দাস, অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. আলঅউদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. আকবর হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. আবু সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, অ্যাডভোকেট রাখাল চন্দ্র দাস, অ্যাডভোকেট শাবানা ইসলাম, অ্যাডভোকেট আসমা বেগম, অ্যাডভোকেট মঈন উদ্দিন আহমদ, অ্যাডভোকেট খোকন কুমার দত্ত, অ্যাডভোকেট জুবায়ের বখত, অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিরাজী, অ্যাডভোকেট বিপ্লব কান্তি দে মাধব, অ্যাডভোকেট সাইফুল হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সজীত কুমার বৈদ্য, অ্যাডভোকেট এনআইএম মাসুম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর, অ্যাডভোকেট প্রবাল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. মোহাইমিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সয়ফুল হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. কামরুল হোসান, অ্যাডভোকেট শহিদুল হক, অ্যাডভোকেট জমিরুল হক, অ্যাডভোকেট আলী মরতুজা ও অ্যাডভোকেট জয়জীত আচার্য্য।

সরকারি কৌশুলী (জিপি) হয়েছে অ্যাডভোকেট মো. রাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী হোসেন আহমদ, মো. আজিজুর রহমান, বিনয় ভূষণ দাস, রিঞ্জন চন্দ্র সরকার। সহকারি সরকারি কৌশুলী নিয়োগ পেয়েছেন-অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল কুদ্দুছ, দেবতোষ দেব, মো. শহিদুল ইসলাম, বিপ্রদাম ভট্টাচার্য, ইয়াকুতুল বাছিত, দেবাশীষ কুমার দাস, এএইচএম রুহুল হুদা, সন্তু দাস, দয়াল চন্দ্র দাস, মুহিদুর রহমান তালুকদার, দিলীপ কুমার কর ও মহিউদ্দিন।

আদালত সূত্র জানায়, জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর আদালতসহ অধীনস্থ ৫৫টি বিচারালয়ে এসব পিপি, জিপি, অতিরিক্ত পিপি, এপিপিরা দায়িত্ব পালন করবেন। তন্মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ’র অধীনে আছে ৪২টি বিচারালয়। আছে চারটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, একটি সাব জজ, সদর ও ১২টি উপজেলায় একটি করে সিভিল আদালত, পারিবারিক আদালত ও সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, চারটি বিশেষ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও ১৩ উপজেলার একটি করে আমলীগ্রহণকারী আদালত (কগনিজেন্স কোর্ট)। আর মহানগর দায়রা আদালতের অধীনে বিচারালয় রয়েছে ১১টি। এরমধ্যে একটি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা আদালত, দু’টি যুগ্ম দায়রা আদালত, চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাড়াও মেট্টোপলিটন এলাকার ৬টি থানার পৃথক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
এনইউ/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।