ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রেনু হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
রেনু হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে তাছলিমা বেগম রেনু নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার সিএমএম আদালতের ডেসপাস শাখায় এ অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আব্দুল হক।

সিএমএম আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাঝহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য অভিযোগপত্রটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন। এছাড়া জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়েছে।  

আসামিদের মধ্যে ওয়াসিম, হৃদয় এবং রিয়া বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া আসামি মহিন উদ্দিন পলাতক। আর রিয়া বেগম, বাচ্চু মিয়া, শাহীন, মুরাদ ও বাপ্পি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।

অপরদিকে আলিফ, মারুফ, সুমন ও আকলিমা এ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছেন।

গত ২০ জুলাই সকালে ছেলেধরা সন্দেহে উত্তর বাড্ডা সরকা‌রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাসলিমা বেগম রেনুকে বেধরক পিটানো হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন বাড্ডা থানায় ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিহত তাসলিমার ভাগ্নে নাসির উদ্দিন একটি হত্যা মামলা করেন।

রেনু হত্যা মামলাটি তদন্ত করছিলেন বাড্ডা থানার ইনস্পেক্টর আব্দুর রাজ্জাক। পরে গত বছর ন‌ভেম্ব‌রে মামলা‌টির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দেওয়া হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ১০ মাসের মধ্যে অভিযোগপত্র দিল সংস্থাটি।

রেনুর স্বজনদের দাবি, মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাবে বলে খোঁজ নিতে বাড্ডার একটি স্কুলে গিয়েছিলেন রেনু এবং সেখানে গণপিটুনির শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে তখন আটকও করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

নিহত তাসলিমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে তুবা ও মাকে নিয়ে থাকতেন তাসলিমা। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। তাহসিন নামে ১১ বছরের এক ছেলেও আছে তাসলিমার।

বালাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
‌কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।