ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাহেদের অস্ত্র মামলার রায় ২৮ সেপ্টেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
সাহেদের অস্ত্র মামলার রায় ২৮ সেপ্টেম্বর সাহেদকে গ্রেফতারের দিনের ছবি

ঢাকা: অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে রায় হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার এক নম্বর মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ রায়ের এই দিন ধার্য করেন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে আইন অনুযায়ী আসামির সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দাবি করেন।

এরপর আসামিপক্ষে নাজমুল হোসেনসহ কয়েকজন আইনজীবী সাহেদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। সেদিন তাদের যুক্তিতর্ক অসমাপ্ত অবস্থায় ২০ সেপ্টেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।

সেই অনুযায়ী রোববার আসামিপক্ষ অসমাপ্ত যুক্ততির্ক উপস্থাপনের পর রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করা হয়।

এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন সাহেদ। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। এরপর আদালত যুক্তিতর্কের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেন।

গত ২৭ আগস্ট একই আদালত এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। ওইদিনই এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী ডিবির পরিদর্শক এস এম গাফফারুল আলমের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শরু হয়।

এই মামলায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৪ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্য সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করেন।

গত ৩০ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. শায়রুল এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ১৩ আগস্ট মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত।

অভিযোগপত্র দাখিলের দিন সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, সাহেদ যখন আমাদের কাছে রিমান্ডে ছিলেন, তখন তার ভাষ্যমতে তার ব্যবহার করা গাড়িটি আমরা জব্দ করি এবং গাড়ি থেকে অবৈধ অস্ত্র জব্দ করি। আমরা তদন্তে অভিযোগপত্র ও মামলার ডকেটে (মামলার নথিপত্র) সব উপস্থাপন করেছি। এ ধরনের মামলায় সাজা নিশ্চিত করতে যে ধরনের তথ্য প্রমাণাদি দরকার হয়, আমরা সব কিছুর সত্যতা নিশ্চিত করেছি। এখন আদালত বিচার করে এর রায় দেবেন।

গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে র‌্যাব। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

এর আগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনা ভুয়া পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে।

পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।