ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ব্লগার নিলয় হত্যা: মেজর জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২০
ব্লগার নিলয় হত্যা: মেজর জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাসায় প্রবেশ করে ব্লগার নিলদ্রী চাটার্জি ওরফে নিলয়কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা মামলার একমাত্র পলাতক আসামি মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে খিলগাঁও থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. ইউসুফ আলী খান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এ মামলায় ডিবির দাখিল করা অভিযোগপত্র গৃহীত হয়েছে। এরপর আদালত পলাতক আসামি মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।  গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে আগামী ৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ডিবির রমনা জোনাল টিমের তদন্ত কর্মকর্তা সিএমএম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হকসহ মোট ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের জড়িত ১৩ আসামির ১২ জন কারাগারে আছে। শুধু বহিষ্কৃত মেজর জিয়াউল হক পলাতক। গ্রেফতারদের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ মামলায় গ্রেফতার আসামিরা হলেন- মাসুম রানা, সাদ আল নাহিন, কাওসার হোসেন খাঁন, কামাল হোসেন সরদার, মাওলানা মুফতী আ. গফ্ফার, মর্তুজা ফয়সলে সাব্বির, তারেকুল আলম ওরফে তারেক,  খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাহাব, মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, আরাফাত রহমান ও শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের।

২০১৫ সালের ৭ আগস্ট বেলা ১ সোয়া একটার দিকে তিন-চারজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় প্রবেশ করে ব্লগার নিলদ্রী চাটার্জি ওরফে নিলয়কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এই ঘটনায় খিলগাঁও থানায় ওইদিন রাতেই মামলা দায়ের করা হয়।

দায়েরের পরদিনই মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি মামলাটি তদন্তকালে ১২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। আসামিদের মধ্যে খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল ও শেখ আব্দুল্লাহ আদালতের কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

গ্রেফতার আসামিরা আদালতে জবানবন্দিতে ঘটনার মূল হোতা আসামী মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হকের নাম প্রকাশ করে এবং নিজেদের জঙ্গিগোষ্ঠি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে পরিচয় দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।