ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলার রায় সোমবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলার রায় সোমবার

ঢাকা: নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী‌র বিরুদ্ধে হওয়া অস্ত্র মামলার রায় হবে সোমবার (১২ অক্টোবর)। এদিন দুপুর ২টায় ঢাকার এক নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এই রায় ঘোষণা করবেন।


 
গত ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শেষে রায়ের এই দিন ধার্য করেছিলেন একই আদালত।  
 
এই মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে গত ২৪ সেপ্টেম্বর আইন অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানান। এ বিষয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল রোববার (১১ অক্টোবর) বাংলানিউজকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্যপ্রমাণ যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া আমরা আইনি যুক্তিগুলোও তুলে ধরেছি। তাই আসামিদের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই হবে বলে আমরা পূর্ণ আশাবাদী।
 
গত ২৪ আগস্ট একই আদালত এই মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য শেষ হয়। সাক্ষ্য শুরু হওয়ার দেড় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মামলাটির রায় হতে যাচ্ছে।    
 
২৯ জুন পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে এই মামলায় সিএমএস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে।
 
গত ২২ ফেব্রুয়ারি র‌্যাব-২ এর একটি দল পাপিয়া পিউকে আটক করে। এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
 
তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন।
 
র‌্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। এই নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচ তারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
 
পরে ২৩ ফেব্রুয়া‌রি তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবং ২৪ ফেব্রুয়া‌রি শেরে বাংলানগর থানায় অস্ত্র ও বি‌শেষ ক্ষমতা আইনের দু‌টি মামলা হয়। তিন‌টি মামলায় এ দুজনকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হ‌য়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
 কেআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।