ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

খুলনায় ট্রিপল হত্যাকাণ্ডের ৩ আসামি ফের রিমান্ডে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২০
খুলনায় ট্রিপল হত্যাকাণ্ডের ৩ আসামি ফের রিমান্ডে

খুলনা: খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে নির্বিচারে গুলি করে তিনজনকে হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত মিল্টন শেখ, তার ভাই জাকারিয়া ও এজাহারভুক্ত আরেক আসামি রেজওয়ান শেখ রাজুকে আবারও তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ।

রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হলে বিচারক তরিকুল ইসলাম তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি ইন্সপেক্টর এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১০ অক্টোবর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি ইন্সপেক্টর এনামুল হক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা কিছু বিচ্ছিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। এগুলো যাচাই-বাছাই করতে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ ও বাকি আসামিদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। মামলায় এ পর্যন্ত ২২ আসামির মধ্যে পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ছয়জন হত্যায় জড়িত স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে মশিয়ালী গ্রামের একটি মসজিদ কমিটির মেয়াদ শেষ হলে সভাপতির পদ থেকে শেখ জাকরিয়াকে পদত্যাগ করতে বলে মিল শ্রমিক মুজিবরসহ মসজিদের মুসল্লিরা। সবার দাবির মুখে বাধ্য হয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে সম্মত হয়ে ১৭ জুলাই জুমার নামাজের পর পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এর আগে ১৬ জুলাই বিকেলে জাকারিয়া ও তার ভাইয়েরা অস্ত্র দিয়ে মিল শ্রমিক মুজিবরকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদী এলাকাবাসীর ওপর জাকারিয়া-জাফরিন-মিল্টন বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মশিয়ালী গ্রামের নজরুল ইসলাম (৬০), একই এলাকার ইউনুছ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০) এবং পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাইদুল ইসলাম। আটরা মেট্রো টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন সাইদুল। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান, মশিয়ার রহমানসহ বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অপরদিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে জাকারিয়ার চাচাতো ভাই জিহাদ শেখের মৃত্যু হয়। এছাড়া হত্যাকারী সন্দেহে কয়েকজনের বাড়ি ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া জাকারকে দল থেকে বহিষ্কার করে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ। ১৮ জুলাই নিহত সাইফুলের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন। খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-প্রচার সম্পাদক শেখ জাকারিয়া হোসেন জাকার, তার ভাই মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি শেখ জাফরিন, অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিল্টনসহ ২২ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের (যার নং-১২, ১৮-৭-২০২০ইং) করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২০
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।