ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চেয়ে সন্তানের রিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চেয়ে সন্তানের রিট

ঢাকা: একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর ছোড়া বোমার আঘাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা গিলাবাড়ীয়া গ্রামের মোকছেদুর রহমানের স্ত্রী সন্তানসহ ৫ জন নিহত হন।

স্বাধীনতার ৪৮ বছরে পর ওই সময় মোকছেদুর রহমানের বেঁচে যাওয়া সন্তান মিজানুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার পরিবারের অবদানের স্বীকৃতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘স্বাধীনতাযুদ্ধে পাঁচ স্বজন হারিয়ে স্বীকৃতি মেলেনি তাদের’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে মিজানুর রহমানের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান লিংকন। অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান লিংকন নিজেই রিটের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

চলতি বছরের ২৫ জুলাই প্রকশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও স্বীকৃতি পায়নি একসঙ্গে পাঁচ স্বজন হারানো ঝিনাইদহের একটি পরিবার। স্বজন হারানো আর বোমার স্প্লিন্টারের আঘাত আজও মনে করিয়ে দেয় ভয়াবহ সেই দিনের কথা। এত বছর পেরিয়ে গেলেও আজও স্বীকৃতি মেলেনি তাদের। ভাতা বা সুযোগ-সুবিধা নয়, পরিবারটি শুধু চায় সম্মান।

হানাদার বাহিনীর ছোড়া বোমার চিহ্ন এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গিলাবাড়ীয়া গ্রামের চায়না খাতুন।

সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারী বলেন, ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর দুপুরে গিলাবাড়ীয়া গ্রামের মোকছেদুর রহমান স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে বসে ছিলেন বাড়ির উঠানে। পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর ছোড়া বোমায় ঘটনাস্থলেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় মোকছেদুর রহমানের দেহ। আহত হয়ে কিছুক্ষণ পর মারা যান স্ত্রী ছকিনা খাতুন, মেয়ে রানু খাতুন, দুই ছেলে তোতা মিয়া ও পাতা মিয়া। আহত হয় ছোট মেয়ে চায়না খাতুন। ভাগ্যক্রমে বাড়ির বাইরে অবস্থান করায় বেঁচে যান মিজানুর রহমান। পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হারিয়ে বোন চায়না খাতুন ও মিজানুর রহমান হয়ে পড়েন অসহায়। সেইসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের জন্য দুই হাজার টাকা অনুদান দেন। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় চলে তাদের সংসার। মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দেওয়া ও নানাভাবে সহযোগিতা করায় এ হামলা বলেও জানান তিনি।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিক আহমেদ বলেন, স্বাধীনতায় ওই পরিবারের অবদান ছিল। স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য তারা। ’

রিটে আবেদনে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
ইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।