ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিদেশ ফেরত ৮৩ জনের বিরুদ্ধে ৫৪ ধারার চলমান কার্যক্রম স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
বিদেশ ফেরত ৮৩ জনের বিরুদ্ধে ৫৪ ধারার চলমান কার্যক্রম স্থগিত

ঢাকা: ভিয়েতনাম ও কাতার ফেরত ৮৩ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ৫৪ ধারার চলমান তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

ভিয়েতনাম ফেরত রহমান নামে এক প্রবাসীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রুলসহ এ আদেশ দেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিদেশ ফেরত ৮৩ বাংলাদেশিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে তুরাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮১ জন ভিয়েতনাম থেকে ফিরেছেন। বাকি দু’জন কাতার ফেরত।

ওই সময়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মোত্তাকিন বাংলানিউজকে বলেন, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে বিদেশ ফেরত ৮৩ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ওই দু’দেশে অবস্থানকালে অপরাধ করেছেন। ভিয়েতনাম থেকে তাদের অপরাধের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সে কারণে ৮৩ জনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে (৫৪ ধারায়) গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন।    

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গ্রেফতারের পরে তাদের জামিন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ভিয়েতনাম ফেরত রহমন নামের একজন ৫৪ ধারার তদন্ত কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বিভাগ ওই তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। পাশাপাশি কার্যক্রম বাতিলে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন।   

তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ২১৯ জন প্রবাসী দেশে ফেরত আসার পর তাদের কোয়রেন্টিনে পাঠানো হয়। তারা সেসব দেশে বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশে আসার পর তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হলে তুরাগ থানায় জিডি করে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য শলা-পরামর্শ করছিলেন। ৪ জুলাই তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে বাহারাইন থেকে আসা চাঁদপুরের শাহিন আলমও রয়েছেন। অবশ্য ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান। এরপর তার বিরুদ্ধে ৫৪ ধারা চলমান কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।

গত ৮ অক্টোবর হাইকোর্ট শাহিনের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন। পাশাপাশি ঢাকার সিএমএম এর কাছেও ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এখন আগামী ৫ নভেম্বর এ দু’টি মামলার শুনানি একসঙ্গে হবে বলে জানান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
ইএস/এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।