ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এসকে সিনহার মামলায় দুদকের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের সাক্ষ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
এসকে সিনহার মামলায় দুদকের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের সাক্ষ্য

ঢাকা: ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এসকে সিনহা) ১১ আসামির বিরুদ্ধে আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি হলেন জব্দ তালিকার সাক্ষী দুদকের ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর আহসান হাবিব।

 

রোববার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি।
 
এ নিয়ে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৮ সাক্ষীর ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।  
 
করাগারে থাকা আসামি মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতিকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান কাজী সালাহউদ্দিন, সাবেক এমডি এবিএম শামীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎফুল হক, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন কুমার সাহা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  
 
এই মামলায় এসকে সিনহাসহ মোট চার আসামি এখন পলাতক। তারা হলেন ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, সাভারের শ্রীমতি সান্ত্রী রায় (সিমি) ও শ্রী রনজিৎ চন্দ্র সাহা।
 
গত ৯ ডিসেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। অভিযোগত্রে ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) নাম নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর তদন্তকালে এজাহারনামীয় আসামি ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক (গুলশান) মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ মারা যাওয়ায় তাকে এই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।  
 
সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি এসকে সিনহাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতা‌রি প‌রোয়ানা জা‌রি করেন। এরপর গত ২০ ফেব্রুয়া‌রি মামলাটি বিচারের জন্য এই আদাল‌তে বদলির আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
 
গত ১৩ আগস্ট একই আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। গত ১৮ আগস্ট এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল সাক্ষ্য দেন।
 
এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ মামলাটি করে দুদক। গত ৪ ডিসেম্বর এই মামলায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।