ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সরকারের কাছেই টাকা দাবি টোকন ঠাকুরের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০
সরকারের কাছেই টাকা দাবি টোকন ঠাকুরের

ঢাকা: সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সার্টিফিকেট মামলায় উল্টো সরকারের কাছেই টাকা পান বলে দাবি করলেন কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা টোকন ঠাকুর।

সরকারি দাবি আদায় আইনে হওয়া এই মামলায় পরোয়ানা মূলে টোকন ঠাকুরকে গত রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন কাঁটাবন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পরদিন সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমান দুই হাজার টাকা মুচলেকায় মঙ্গলবার পর্যন্ত তাকে জামিন দেন।

মঙ্গলবার তাকে মামলাটি যে আদালতে বিচারাধীন সেখানে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পান টোকন ঠাকুর।

এ দিন নির্বাহী হাকিম সোনিয়া হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবী প্রকাশ বিশ্বাসের মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন তিনি।

শুনানিতে আইনজীবী প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, সরকারি অনুদানের প্রথম কিস্তিতে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়ে ‘কাঁটা’ সিনেমার শতভাগ ফুটেজ ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন টোকন ঠাকুর। বাকি ২৫ লাখ টাকা পেলে পুরো চলচ্চিত্রটি তিনি জমা দিতে পারবেন।

তখন বিচারক টোকন ঠাকুরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে শর্ত অনুযায়ী ছবির ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের ফুটেজ জমা দেওয়ার কথা। আমি প্রথম কিস্তিতে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়ে পুরো ছবির ফুটেজ জমা দিয়েছি, যার দৈর্ঘ্য পাঁচ ঘণ্টার বেশি। মন্ত্রণালয় থেকে বাকি ২৫ লাখ টাকার দ্বিতীয় কিস্তির জন্য কয়েকবার আবেদন জানিয়েছি এবং এখনও জানাচ্ছি। অবশিষ্ট টাকা পেলে সম্পাদনাসহ শব্দ, সংগীত সংযোজন করে চলচ্চিত্রটি চূড়ান্ত করে সেন্সর বোর্ডে ছবিটি জমা দিতে পারব।

পরে বিচারক সোনিয়া হোসেন চলচ্চিত্রটির যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে চূড়ান্ত প্রিন্ট জমা দিলে তা যাচাই করে মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলে আদেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।