ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দুই সন্তানের মরদেহ নিয়ে হাইকোর্টে বাবা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২০
দুই সন্তানের মরদেহ নিয়ে হাইকোর্টে বাবা

ঢাকা: তিন হাসপাতালে ঘুরে জমজ নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মুগদা কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুর পর মরদেহ নিয়ে জমজ নবজাতকের বাবা সুপ্রিম কোর্টের এমএলএসএস মো.আবুল কালাম আজাদ আদালত চত্বরে নিয়ে আসেন।

এরপর বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে চিকিৎসা অবহেলায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের এমএলএসএস মো.আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সায়েরা খাতুন অসুস্থবোধ করলে মুগদা হাসপাতাল নেওয়ার পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে দু’টি বাচ্চা প্রসব করেন।

এ সময় তারা প্রসূতিকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মুগদায় ভর্তি করেন। সেখানে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তারা নবজাতকদের শ্যামলীতে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।  পরে দুই নবজাতককে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বলে তাদের আইসিইউ খালি নেই। নরমাল বেডে ভর্তি করতে হবে। এ জন্য দিনে প্রতি বাচ্চার জন্য ৫ হাজার করে টাকা লাগবে। এ সময় আবুল কালাম আজাদ হাইকোর্টের এক বিচারপতির সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করেন। বিচারপতি তার নবজাতকদের বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নিয়ে আসতে বলেন এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নিয়ে আসেন এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তাক জানান পরিচালক মিটিংয়ে আছেন। পরে জানান পরিচালক বাসায় চলে যান। এরপর পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা একজন চিকিৎসককে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে নবজাতকদের দেখান। তখন চিকিৎসক বলেন, জমজ নবজাতক আর বেঁচে নেই।

তারপর আবুল কালাম আজাদ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের মরদেহ আদালত চত্বরে নিয়ে আসেন। এরপর আদালত আদেশ দেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।

বাংলাদেশ  সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
ইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।