ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মাইন্ড এইডের পরিচালক ও মানসিক স্বাস্থ্যের রেজিস্ট্রার কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২০
মাইন্ড এইডের পরিচালক ও মানসিক স্বাস্থ্যের রেজিস্ট্রার কারাগারে ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা তুজ যোহরা ময়না ও ঢাকার সরকারি মানসিক হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৫ নভেম্বর ফাতেমা তুজ যোহরা ময়নাকে চার ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দু’দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক ফারুক মোল্লা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান।

গত ১২ নভেম্বর দুপুরে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ফাতেমা তুজ যোহরা ও ১৭ নভেম্বর ডা. মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

এদিকে মামলটিতে গত ১০ নভেম্বর ১০ আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা হলেন- মাইন্ড এইডের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, শেফ মাসুদ, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ ও ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান। তাদের মধ্যে ছয়জনকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। বাকিদের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ মামলায় ডা. নুসরাত ফারজানা নামে একজন হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন।

পারিবারিক ঝামেলার কারণে আনিসুল মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করে পরিবার।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। ঘটনার পর হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে তাকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, হাসপাতালে ঢোকার পরই আনিসুল করিমকে ছয় থেকে সাতজন টেনে-হেঁচড়ে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মাথার দিকে থাকা দু’জন হাতের কনুই দিয়ে আনিসুল করিমকে আঘাত করছিলেন। এ সময় একটি কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুল করিমের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর তাকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম ৩১ বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এক সন্তানের বাবা আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে। সর্বশেষ আনিসুল করিম বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২০
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।