ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ডিআইজি প্রিজনস বজলুর র‌শিদের জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
ডিআইজি প্রিজনস বজলুর র‌শিদের জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল

ঢাকা: প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (সাময়িক বরখাস্ত) বজলুর রশিদের জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল জারি করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান। পরে তিনি জানান, আদালত তার জামিন প্রশ্নে ১০ দিনের রুল জারি করেছেন এবং ১৮ জানুয়ারি রুল শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।

গত ২৯ অক্টোবর বিচারিক আদালত থেকে জামিন পান ডিআইজি বজলুর রশিদ। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগে দুদক তার জামিন বাতিলের আবেদন করে। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, তিনি কোনো তথ্য গোপন করেননি। তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করছি। শুনানি শেষে ৮ ডিসেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন তার জামিন বহাল রাখেন।

গত ২২ অক্টোবর একই আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর এ আদেশ দেন। গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বজলুর রশিদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ‌্যাপার্টমেন্ট কিনেন। অ‌্যাপার্টমেন্টের মূল্যবাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। এই অ‌্যাপার্টমেন্ট ক্রয়বাবদ বজলুর যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।  

এমনকি তিনি অ‌্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি।  পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

গত বছরের ২০ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে বজলুর রশিদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানোর অভিযোগে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি দুদকের নজরে আসে।

জিজ্ঞাসাবাদ শে‌ষে দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় আদাল‌তে হা‌জির তরা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
ইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।