ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বঙ্গবন্ধুর চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব স্থগিতের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব স্থগিতের নির্দেশ

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দণ্ডিত চার খুনির মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাওয়া রাষ্ট্রীয় খেতাব স্থগিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিবকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ওই চার খুনি হলেন—  শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নুর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন ওরফে মুসলেম উদ্দিন ওরফে হিরন খান ওরফে মুসলেম উদ্দিন খান।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান।

গত ১ ডিসেম্বর রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। আদেশের পরে তিনি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার দণ্ডিত এ চার আসামির খেতাব বাতিলে এক ও দুই নম্বর বিবাদীর নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির করেছেন হাইকোর্ট।

এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় তাদের খেতাব স্থগিত করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নুর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন ওরফে মুসলেম উদ্দিন ওরফে হিরন খান ওরফে মুসলেম উদ্দিন খানকে বিবাদী করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, ১৯৭৩ সালে ৭ জনকে বীরশ্রেষ্ঠ, ৬৮ জনকে বীর উত্তম, ১৭৫ জনকে বীর বিক্রম ও ৪২৬ জনকে বীর প্রতীক উপাধি দেওয়া হয়। একই সালের ১৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে গেজেট জারি করা হয়।

এর মধ্যে নুর চৌধুরী বীর বিক্রম, শরিফুল হক ডালিম বীর উত্তম এবং রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনকে বীর প্রতীক খেতাব দেওয়া হয়।

সুবীর নন্দী দাস বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ রকম খেতাব কেড়ে নেওয়ার নজির আছে। যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের নজির আবেদনে বলেছি। বাংলাদেশেও নজির আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০/আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।