ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এমসির ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
এমসির ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো

সিলেট: সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। রোববার (২৪ জানুয়ারি) এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন ধার্য ছিল।

এদিন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও চাঁদাবাজি মামলার বিচারের সাক্ষ্যগ্রহণ পৃথক না করে একই আদালতে করার আবেদন করেন।

কিন্তু আদালতের বিচারক মো. মোহিতুল হক বাদী পক্ষের আইনজীবীর আবেদন নাকচ করে দিয়ে আগামী বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কোনো অপরাধ হলে সেটির বিচার অত্র আদালত একসঙ্গে করতে পারেন। সে হিসেবে বাদীর কাছে অভিযুক্তদের চাঁদাবাজি মামলার বিচারও অত্র আদালতে করতে ২৭/৩ ধারায় দরখাস্ত করি। কিন্তু আদালত সেটা নাকচ করে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন এবং সাক্ষী হাজির না হলে গ্রেফতারপূর্বক আদালতে হাজিরের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দেওয়া বাদী পক্ষের আবেদনে উল্লেখ করেন, গত ১৭ জানুয়ারি বহুল আলোচিত এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকার্য শুরু হয়। মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০-আইনের ৭/৯(৩)/৩০ এবং দণ্ডবিধি ৩৪২/৩২৩/৩৭৯/৩৮৫/৩৪ ধারায় রেকর্ডকৃত এজাহারনামীয় ছয়জনসহ তদন্তে আসা আরও দু’জনসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ন্যায় বিচারের স্বার্থে এ মামলায় সঙ্গতিপূর্ণ দণ্ডবিধি অপরাধের বিচার ট্রাইব্যুনালে না আসা পর্যন্ত বিচারকার্য স্থগিত রাখা আবশ্যক। অন্যথায় বিচার বিভ্রাট সৃষ্টি হবে। মামলাটি দুই টুকরো হয়ে ট্রাইব্যুনালে ও দায়রা আদালতে পৃথকভাবে বিচার চললে দুই দফা সাক্ষী প্রদান করা প্রয়োজন হবে। দুই বিচারালয়ে দুই ধরনের রায় পর্যালোচনা ও রায় হলে তা মামলার জন্য ক্ষতিকর ও সুবিচারের প্রতিবন্ধক হবে।  

বাদী পক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, দণ্ডবিধি মামলাটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জিআর ১৩১ (এ)/২০২০) দায়রা আদালতে বিচারকার্য হওয়ায় বিজ্ঞ মহানগর আদালতে বদলি করা হয়। তবে নথি এখনও মহানগর আদালতে পৌঁছায়নি। এ মামলার গোপনীয়তা সংরক্ষণ করায় দরখাস্তকারী এসব তথ্য ১৮ জানুয়ারি জ্ঞাত হন। নারী ও শিশু নির্যাতন আইন-২০০০ এর (২৭ (৩) ধারা মোতাবেক যদি এ আইনের অধীনে কোনো অপরাধের সঙ্গে অন্য কোনো অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে। ন্যায় বিচারের স্বার্থ উভয় অপরাধের বিচারক একসঙ্গে একই ট্রাইব্যুনালে করা যাবে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রাশিদা সাঈদা খানম বলেন, এদিন আদালতে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও আরেক আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি জামিনের প্রার্থনা করলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন।  

এদিন ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান ও শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি ছাড়াও মামলার অপর ছয় আসামি তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।