ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্ত্রীকে হত্যা: ১৫ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১
স্ত্রীকে হত্যা: ১৫ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন 

ঢাকা: দুইবার চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিলের পর তৃতীয়বার অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত ১৫ বছর পর স্বামীর হলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকায় স্ত্রী ফেরদৌস আরা লিপিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় স্বামী এসাদুল হক মামুনকে এই দণ্ড দেওয়া হয়।  

সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোছাম্মাৎ রোকসানা বেগম হেপী এ রায় ঘোষণা করেন।  

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

জামিনে থাকা এসাদুল হক মামুন রায় ঘোষণার আগে আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এ কে এম সফিকুর রহমান (স্বপন)। অপরদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজিমুদ্দিন শিমুল।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৬ নভেম্বর ফেরদৌস আরা লিপি এবং এসাদুল হক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তারা রাজধানীর শাহ আলী এলাকায় বাস করতেন। ২০০৬ সালের ২৩ জানুয়ারি আসামি লিপির ভাই জমিরুল আবেদীন সুমনকে জানায়, কে বা কারা তার বোনকে গলা কেটে হত্যা করেছেন। তবে লিপির পরিবার সন্দেহ করে এসাদুলই তাকে হত্যা করেছেন।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই জমিরুল আবেদীন সুমন পরদিন ২৪ জানুয়ারি শাহ আলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। দুইবার আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে থানা পুলিশ। সাতজন তদন্ত কর্মকর্তার হাত ঘুরে শেষ পর্যন্ত সিআইডির এএসপি আকবাল আজাদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আট বছরের দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় 
রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২০ সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।  

দীর্ঘদিন পর আসামির সাজা হওয়ায় খুশি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এ কে এম সফিকুর রহমান (স্বপন)।  তিনি বলেন, আসামি খুব প্রভাবশালী। দুইবার প্রভাবিত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট করান তিনি। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার সাজা নিশ্চিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। দীর্ঘদিন পর হলেও তাকে শাস্তির আওতায় আনতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট।  

বালাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
কেআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।