ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দিহানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
দিহানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর

ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানে বন্ধুর বাসায় গিয়ে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি ইফতেখার ফারদিন দিহানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।

গত ২৬ জানুয়ারি এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন আদালত। এ অবস্থায় তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করেন।

গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে বান্ধবী আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে দিহানের বিরুদ্ধে। দিহান নিজেই ভুক্তভোগী আনুশকাকে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি দিনগত রাতে নিহত আনুশকার বাবা মো. আল-আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে আনুশকার প্রেমিক ইফতেখার ফারদিন দিহানকে। মামলায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

ওইদিন রাতেই এ ঘটনায় আনুশকার প্রেমিক ইফতেখার ফারদিন দিহানসহ চার জনকে আটক করেছে কলাবাগান থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুধু দিহানকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

পরদিন ৮ জানুয়ারি আসামি দিহান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে একই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

এরপর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১০ জানুয়ারি দিহানের ডিএনএ টেস্টের অনুমতি দেন আদালত। পরবর্তীতে ১৩ জানুয়ারি দিহান যৌনশক্তি বর্ধক কোনো ওষুধ ও মাদক সেবন করেছিল কি-না তা পরীক্ষার অনুমতিও দেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।