ঢাকা: ১৯৯৮ সালে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের বাদল সরদার হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডিত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ মামলায় বিচারিক আদালত চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) খারিজ ও আসামিদের আপিল গ্রহণ করে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান ফরিদ, শেখ আলী আহমেদ খোকন, মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
পরে ফজলুল হক খান ফরিদ বলেন, ঘটনার সময় এ মামলায় এক আসামি অন্য মামলায় জেলে ছিলেন। কিন্তু একজন সাক্ষী জেলে থাকা আসামির বিরুদ্ধেও সাক্ষ্য দিয়েছেন। এতে বোঝা যায় সাক্ষী বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। এ রকম কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সব আসামি খালাস পেয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভিটাবাড়িয়া গ্রামের জালাল সরদারের ছেলে বাদল সরদারকে কুপিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০০৩ সালে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের এক আদেশে মামলাটি বিচারের জন্য পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
বিচার শেষে ২০১৫ সালের ১ জুলাই ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ এস এম সোলায়মান রায় দেন। রায়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের শহীদ শিকদার, দুলাল শিকদার, বাদল শিকদার, নিজাম শিকদারকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সালাম সরদার, উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের হারুন শিকদার ও মিনু সিকদারকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। আর অপর ছয় আসামিকে খালাস দেন।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে রোববার এ রায় দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
ইএস/আরবি