ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

দীপন হত্যা মামলার রায় বুধবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
দীপন হত্যা মামলার রায় বুধবার ফয়সাল আরেফীন দীপন

ঢাকা: জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি)। এদিন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করবেন।

মামলায় আট আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে নিহত দীপনের বাবা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক রায় দেখে তার প্রতিক্রিয়া জানাবেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, শেখ আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব। এরমধ্যে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব পলাতক। কারাগারে থাকা সব আসামিই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বাংলানিউজকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি বলে মনে করি। আশা করছি, আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডই হবে।

তবে রায়কে ঘিরে আপাতত কোনো প্রত্যাশা নেই দীপনের বাবা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তিনি আদালত পাড়ার সাংবাদিকদের বলেন, রায়ের বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। রায় দেখে তারপর প্রতিক্রিয়া জানাবো।

এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩১ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিনই তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দীপন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। অভিযোগপত্রে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

২০১৯ সালের বছর ১ ডিসেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সেদিন মামলার বাদী ও দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান ও জব্দ তালিকার সাক্ষী আজিজ সুপার মার্কেট কো-অপারেটিভ মালিক সমিতির অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দেন। মামলায় ২৬ সাক্ষীর ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এরপর গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ সময় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চান তারা। এরপর গত রোববার আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করলে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad