ঢাকা: উত্তরা ব্যাংকের দুই কোটি ৫ লাখ টাকার ঋণ মওকুফের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের স্বাক্ষর জালকারী কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে দুই জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বুধবার (৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।
সাক্ষ্য দেওয়া দুজন হলেন—উত্তরা ব্যাংকের সাবেক এমডি আব্দুল মতিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থ উপদেষ্টা শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা লিয়াকত আলী। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের জেরা করেন।
এর আগে মামলাটিতে বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আরও ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণকালে জামিনে থাকা আসামি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিটেডের কাছে ঋণের ২ কোটি ৫ লাখ টাকা পায়। আসামি রেনু ওই ঋণ মওকুফ করে দেওয়ার কথা বলে কোম্পানিটির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের বরাতে তার জাল স্বাক্ষরে ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা নিতে উত্তরা ব্যাংকের এমডি বরাবর একটি চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে ড. মশিউর রহমানের স্থলে ডা. মশিউর রহমান লিখায় উত্তরা ব্যাংকের এমডির সন্দেহ হয়। তাই চিঠিটি যাচাইয়ের জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায়। সেখানে প্রমাণিত হয় ওই চিঠি ড. মশিউর রহমান ইস্যু করেননি।
এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল বংশাল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় একই কর্মকর্তা ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন—মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিডেট পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন, চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন, পরিচালক আমজাদ হোসেন ও মনোয়ার হোসেন।
২০১৫ সালের ১১ জুন মামলাটিতে চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং অপর আসামিদের অব্যাহতি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
কেআই/এমজেএফ
