ঢাকা: একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামির শরীরে ‘নির্যাতনের’ স্পষ্ট চিহ্ন থাকার পরও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করায় চাঁদপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরে আলমকে শো’কজ করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৪ মার্চ) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আসামির জামিন শুনানিতে ম্যাজিস্ট্রেট নূরে আলমকে এ শো’কজ করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী রিমি নাহরীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার পিয়ারীখোলা গ্রামে এক কাঠমিস্ত্রিকে (১৭) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরদিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে তিনি ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে ওই কাঠমিস্ত্রির ১৫ হাজার টাকার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
পরে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরে আলম মন্তব্য কলামে লিখেছেন, আসামির দুই হাতের কব্জির নিচে দড়ি দিয়ে দীর্ঘক্ষণ বেঁধে রাখার চিহ্ন দেখা যায়। এছাড়া পায়ের তালু ও পায় ফোলা দেখা যায়।
পরে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামি। শুনানিতে তার আইনজীবী রিমি নাহরীন বলেন, জবানবন্দিতে আসামির বয়স ১৬ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগপত্রে ১৯ বছর দেখানো হয়েছে। একটি শিশুকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে চার্জশিট দেওয়ায় আইন লঙ্ঘিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
ইএস/এসআই