ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের মামলার রায় পেছালো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের মামলার রায় পেছালো

ঢাকা: সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার রায়ের তারিখ পেছালো।

বুধবার (৮) এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।

তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

গত ২২ মার্চ এ মামলায় রাষ্ট্র এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১ এপ্রিল রায়ের দিন ধার্য করেন। এরপর একদফা পিছিয়ে ১১ এপ্রিল রায়ের দিন ধার্য করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ থাকায় আর রায় ঘোষণা হয়নি। আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হলে ৮ সেপ্টেম্বর রায়ের জন্য দিন রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রবীর সিকদার বর্তমানে দৈনিক বাংলা ৭১, অনলাইন পত্রিকা উত্তরাধিকার-৭১ নিউজ ও ত্রৈমাসিক পত্রিকা উত্তরাধিকারের সম্পাদক।

২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট এ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা স্বপন পাল। ওই রাতেই গ্রেফতার হন প্রবীর সিকদার। পরে তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওই বছর ১৯ আগস্ট তিনি জামিনে মুক্তি পান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রবীর সিকদার ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট ফেসবুকে তৎকালীন এলজিআরডিমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে মন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ৪ আগস্ট প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধীরা প্রবীর সিকদারের বাবাসহ তার পরিবারের ১৪ জনকে হত্যা করে। ২০০১ সালে দৈনিক জনকণ্ঠের ফরিদপুর প্রতিনিধি থাকাকালে রাজাকারদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবেদন লেখার পর সন্ত্রাসীদের হামলায় তাকে একটি পা হারাতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।