ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

র‌্যাংগসের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
র‌্যাংগসের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা: অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর আক্তার হুসাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (১৯ সেপ্টম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে কামরুন নাহার লিজা নামে এক আইনজীবী মামলাটি দায়ের করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ম্যানেজার (মার্কেটিং) মোহাইমিনুল ইসহাক প্রতীক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (মার্কেটিং) ওমর ফারুক ও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটের শো-রুম ইনচার্জ তানভীর হোসাইন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্টেড ও ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে দীর্ঘদিন চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসি, ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রি করে আসছে। তা দেখে বাদী কোম্পানির কেলভিনেটর ব্রান্ডের এসি কিনতে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, খুচরা মূল্য এক লাখ ৫ হাজার ৯০০ টাকা এবং অফার মূল্য ৫১ হাজার ৯০০ টাকা। তাকে আরও জানানো হয়, এটি মালয়েশিয়ায় তৈরি, এসির কম্প্রেসারের ৫ বছরের এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশের দুই বছরের ওয়ারেন্টি রয়েছে। এসি কিনতে বাদী কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে তানভীর হোসেন যোগাযোগ করে তাকে শো-রুমে যেতে বলেন। গত ১৭ আগস্ট বাদী শো-রুমে যান। ৬৩ হাজার ১৯৬ টাকা মূল্যে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে ১৮ হাজার ৯৫৯ টাকা নগদ ডাউন পেমেন্ট পরিশোধ করে এসি কেনেন।

বাদী অফার মূল্যের কথা জানালে তানভীর হোসাইন জানান, শো-রুম মূল্য এক টাকা কম হলেও হবে না। ২০ আগস্ট তা বাদীর ঠিকানায় পাঠানো হয়। আসামিপক্ষের টেকনিশিয়ান দায়সারাভাবে এসিটি বাসায় প্রতিস্থাপন করে চলে যায়।

আরও জানা যায়, বাদীর পরিচিত একজন ২৪ আগস্ট ওয়ালটনের একটি এসি কেনেন। বাদী তার কাছ থেকে ম্যানুয়েল সংগ্রহ করে বাসায় নিয়ে দেখেন ওয়ালটন এসি ও ক্যালভিনেটর এসির যন্ত্রাংশ অধিকাংশই একই আকার ও প্রকৃতির। এটা দেখে বাদী বুঝতে পারেন, আসামিরা ওয়ালটন কোম্পানির পণ্য নকল করে কেলভিনেটরের নামে বিক্রি করে বাদীসহ অসংখ্য ক্রেতাকে প্রতারিত করে আসছেন।

কামরুন নাহার লিজা ওয়ালটনের বিভিন্ন শো-রুমে খবর নিয়ে জানতে পারেন, কেলভিনেটর ব্যান্ডের এসির কম্প্রেসারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ওয়ালটন কোম্পানি থেকে কিনে শুধু কেলভিনেটর নামের স্টিকার সেঁটে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আন্তর্জাতিক ব্রান্ডের পণ্য বলে বিক্রি করছেন। বাদীর কেনা এসি মালয়েশিয়ায় প্রস্তুতকৃত নয়। ওয়ালটন দেশীয় কোম্পানি হওয়ায় এ কোম্পানির ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর মূল্য তুলনামূলকভাবে কম। আসামিপক্ষ র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের পণ্য মালয়েশিয়া, আমেরিকাসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে প্রস্তুতকৃত আন্তর্জাতিক মানের বলে প্রচারণা চালিয়ে ওয়ালটনের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে বিক্রি করে বাদী ও ক্রেতা সাধারণের মনে আসামিপক্ষের পণ্য আন্তর্জাতিকমানের বলে সরল বিশ্বাস জন্মিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণামূলকভাবে অপরাধ করে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।