ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দূষিত পানি রোধে কর্মপরিকল্পনা জানাবে ওয়াসা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
দূষিত পানি রোধে কর্মপরিকল্পনা জানাবে ওয়াসা

ঢাকা: দূষিত পানি রোধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ২ নভেম্বর হাইকোর্টকে জানাবে ওয়াসা। ওইদিন পরবর্তী শুনানির জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

এর আগে ওয়াসার পানি পরীক্ষার ওপর দু’টি প্রতিবেদনের ওপর বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।

তানভীর আহেমদ জানান, পরে মামলাটি শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে সেটি আর হয়নি। দীর্ঘদিন পরে আজ শুনানির জন্য মামলাটি তালিকায় ওঠে। এরপর আদালতে বলেছি দুই বছর ধরে তারা কী করেছে, দূষিত পানি রোধে ওয়াসা কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে-নিচ্ছে এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা কী, এসব বিষয় উপস্থাপনের পর ওয়াসা জানিয়েছে তারা ০২ নভেম্বরের মধ্যে বিষয়গুলো আদালতকে জানাবে।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানের নাম-উল্লেখ করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করার আদেশ দেন।

পরে ২০১৯ সালের  ১৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন- আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মনিরুল আলম, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম বদরুজ্জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমান।

 

পানি পরীক্ষায় আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদন ২০১৯ সালের ৭ জুলাই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের ৩৪টি নমুনার মধ্যে আটটি পানির নমুনায় ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।  

ওই সময় ওয়াসার আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাসুম বলেছিলেন, সমন্বিত প্রতিবেদন আসার পর সেখানে জোন-১ ও জোন-৪- একটি মিরপুর অপরটি পাতলা খান লেনে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন। সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া হলো ফেকেল ও ই-কোলাই। ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসারে আমরা ওয়ান বাই ওয়ান কারেক্টিফিকেশনে গিয়েছি।  
 

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
ইএস/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।