ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অ্যাপে সুদ কারবার মামলায় ৭ জন রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২১
অ্যাপে সুদ কারবার মামলায় ৭ জন রিমান্ডে ...

ঢাকা: অ্যাপভিত্তিক ডিজিটাল মাইক্রোফাইন্যান্সের নামে অবৈধ সুদের কারবারি প্রতারক চক্রের সাত সদস্যের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (০৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া সাত আসামি হলেন- চীনা নাগরিক হি মিংশি ও ইয়াং সিকি, মজুমদার ফজলে গোফরান, আহসান কামাল, হিমেল অর রশিদ, নাজমুস সাকিব ও জেরিন তাসনিম বিনতে ইসলাম।

একই চক্রের ৫ সদস্যকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারাগারে যাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- ইমানুয়েল এডয়োর্ড গোমেজ, আরিফুজ্জামান, শাহিনুর আলম, শুভ গোমেজ ও আকরাম আলী।

এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটের এসআই প্রাণ কৃষ্ণ সরকার রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ১২ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। প্রথম সাত জনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন এবং পরের ৫ জনকে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

সাত আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। অপর পাঁচ আসামির জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত সাত আসামির দুই দিনের রিমান্ড ও পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

সিএমএম আদালতে ধানমন্ডি থানার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. এশারত আলী এসব তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, আসামিরা সরকারি অনুমোদন ব্যতীত থান্ডার লাইট টেকনোলজি লিমিটেড, নিউ ভিশন ফিনটেক লিমিটেড ও বেসিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির নামে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতো। আইনগত অনুমোদন ছাড়া তারা গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করে। গ্রাহকরা এসব অ্যাপ ইন্সটল করার মাধ্যমে অ্যাপে গ্রাহকের অজান্তে ক্যালেন্ডারের ইভেন্ট পড়া, গ্রাহকের অনুমতি ছাড়া দূর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মোবাইল ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি ও ভিডিও ধারণ, মোবাইলের কন্টাক্ট পড়াসহ মোবাইলের অ্যাক্স্যাক্ট লাইভ লোকেশন নির্ণয়, ফোনের স্ট্যাটাস এবং তথ্য সংগ্রহ, ফোনে সংরক্ষিত মেসেজ পড়া, পরিবর্তন করার অনুমতি নিয়ে নেয়। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের পারসোনাল ডাটা সিকিউরিটির চরম হুমকিতে পড়ে।

তারা অনলাইন অ্যাপস যেমন- টিকালা, ক্যাশম্যান, র‍্যাপিড ক্যাশ, আমার ক্যাশের মাধ্যমে জামানতবিহীন লোন দেওয়ার নামে অতিরিক্ত হারে সুদের কারবার করে। এসব অ্যাপসের সার্ভার চীনে অবস্থিত এবং সেখানে থেকে পরিচালিত হয়। কিছু চীনা নাগরিক বাংলাদেশি নাগরিককে সহায়তার নামে এসব অ্যাপের মাধ্যমে জামানতবিহীন স্বল্প সুদে লোন দেওয়ার প্রলোভনে গ্রাহক আকৃষ্ট করে। তাদের বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে গ্রাহকরা লোন নিয়ের স্বল্প সুদের পরিবর্তে উচ্চহারে সুদ দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। প্রতারণার শিকার একজনের অভিযোগ পেয়ে ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২১
কেআই/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।