ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৩ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২১
৩ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত

ঢাকা: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে নিজ ঘরে ধর্ষণচেষ্টায় বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

ওই তিন পুলিশ সদস্যের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আবেদনটি শুনানির জন্য আগামী ২৮ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে তিন পুলিশ সদস্যের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির।    

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে নিজ ঘরে ধর্ষণচেষ্টায় বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় গত ২৮ অক্টোবর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পাঁচজনকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

বেগমগঞ্জ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাড়া অন্যরা হলেন- উপ--পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মফিজুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ও চৌকিদার আলী আসগর।

পরে তিন পুলিশ সদস্য হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

গত ২৮ অক্টোবর রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তৎকালীন ওসি, একজন এসআই ও এএসআইকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চৌকিদারকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে এলজিআরডি সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত বছরের ৫ অক্টোবর ঘটনাটি আদালতের নজরে আনার পর ফুটেজ সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সিডি বা পেনড্রাইভে কপি রেখে ভিডিও ফুটেজ সরাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া ওই নারীর পরিবারকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের বক্তব্য নিতে পুলিশের কোনো অবহেলা আছে কিনা, তা অনুসন্ধান করতে একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন আদালত। কমিটিকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

পরে আদালতের নির্দেশে কমিটির প্রধান ছিলেন চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাশার। সদস্য ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন ও জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।

আদালতে ওই কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে অবহেলা পাওয়ায় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় চৌকিদারের বিষয়ে আদালত যৌক্তিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিতে পারে বলে মত দেওয়া হয়। এরপর সেই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৮ অক্টোবর রায় দিলেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন...
বেগমগঞ্জ: এএসপি-ওসির বিষয়ে ব্যবস্থা চায় তদন্ত কমিটি

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২১
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।