ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ভোলায় ডাচ নাগরিকের সেই জমি এখন সরকারের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
ভোলায় ডাচ নাগরিকের সেই জমি এখন সরকারের

ঢাকা: ভোলা সদরে থাকা নেদারল্যান্ডের নাগরিক পিটার এচেলী এডমন্ড রোজার এর নামে রেকর্ড করা জমি সরকারের খাস জমি হিসেবে হস্তান্তর করতে হবে।

জমি হস্তান্তরের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রায় দিয়েছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুন নেসা রত্না।

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট ভোলার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মাসুদা আক্তার সদর উপজেলা এসিল্যান্ড বরাবরে একটি স্মারক পাঠান। সেখানে বলা হয়,  সদর উপজেলার চর কালী মৌজায় ১৩ দশমিক ৭৩ একর জমির প্রকৃত মালিক নেদারল্যান্ডের নাগরিক পিটার এচেলী এডমন্ড রোজার।  

ভুয়া সার্টিফিকেট মামলা (৩৫৪২/৬০-৬১-১০১০/৬৪-৬৫ এবং ২১১/৭৩-৭৪) মূলে ওই জমি জনৈক সিরাজুল হক (বর্তমানে মৃত) নিজ নামে হস্তান্তর ও নামজারী করেছেন। বিষয়টি দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে বিধায় এবং প্রকৃত মালিক নেদারল্যান্ডের নাগরিক জনৈক পিটার এচেলী এডমন্ড রোজারের কোনো উত্তরাধিকারী দেশে না থাকায় ওই জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এবং গৃহীত ব্যবস্থা অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আইনজীবীদের নথি অনুসারে দেখা যায়, ১৯৮৭ সালে সিরাজুল ইসলাম ওই জমি তিনজনের কাছে হস্তান্তর করেন। ওই তিনজন আবার ৪ দশমিক ০৭ একর জমি ২০০৯ সালে কাজী জাহিন এস হাসানের কাছে হস্তান্তর করেন।

এদিকে, রেভিনিউ কালেক্টরের ওই চিঠির পর ১৩ আগস্ট আলী নগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মর্তা মো. সোলাইমান একটি নোটিশ দেন।  

নোটিশে বলা হয়, পূর্ব চর কালী মৌজার এস/এ ১১৯ নম্বর খতিয়ানের ১৩ দশমিক ৭৩ একর জমির প্রকৃত মালিক নেদারল্যান্ড নিবাসী পিটার এচেলী এডমন্ড রোজারের নামে এস, এ রেকর্ড অঙ্কিত থাকায় এবং দুদক ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্মারকে ওই জমি সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী খাস করার জন্য দুদক ও জেলা প্রশাসক নির্দেশ দেন। ওই খতিয়ানের জমি সরকারি খাস হিসেবে বিধি মোতাবেক দখল হস্তান্তর করার জন্য বলা হলো।

এ নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাজী জাহিন এস হাসানের মালিকানাধীন এম এস সাগরিকা ফিড মিল লিমিটেড। ২০১৫ সালে হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এখন ওই জমি সরকারি খাস হিসেবে বিধি মোতাবেক দখল হস্তান্তর করতে হবে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
ইএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।