ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সেই বিচারককে প্রত্যাহার, প্রজ্ঞাপন জারি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২১
সেই বিচারককে প্রত্যাহার, প্রজ্ঞাপন জারি

ঢাকা: ‘৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়’, রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়া ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা.কামরুন্নাহারকে প্রত্যাহার করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রোববার (১৪ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭, ঢাকা এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহারপূর্বক আইন ও বিচার বিভগে সংযুক্ত করা হলো।

এর আগে সকালে ওই বিচারককে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে রোববার (১৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি এ নির্দেশ দেন।

এছাড়া সেই বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে পাঁচ আসামিকে খালাস দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার। রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণ ঘটনার ৩৮ দিন পর কেন মামলা করা হয়েছে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

ভবিষ্যতে সঠিক তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেন আদালত। একই সঙ্গে ধর্ষণ ঘটনার ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুলিশ যেন মামলা গ্রহণ না করে, সে বিষয়েও রায়ে বলা হয়।

এরপর বিচারকের এমন নির্দেশনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা।

এদিকে গত শনিবার (১৩ নভেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘একটি কথা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমি ওনার (বিচারক) রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে এখন কথা বলতে চাই না। কিন্তু ওনার (বিচারক) অবজারভেশনে ৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়- এমন বক্তব্য সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক। ’
 
সেদিন আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেজন্য আমি রোববার প্রধান বিচারপতির কাছে একটা চিঠি লিখছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, ন‌ভেম্বর ১৪, ২০২১
ইএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।