ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় হচ্ছে না আজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় হচ্ছে না আজ সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি

ঢাকা: মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি (২৪) হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে না আজ। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।  

তবে এদিন মামলার বাদী নিহত তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম তাদের জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন। এই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত ও মো. সলিম উল্লাহ (খসরু) এ তথ্য জানান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, তিন্নির বাবা ও চাচার আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। তারা তাদের সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণের আবেদন করেছেন। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন বিধায় আজ রায় হচ্ছে না।  

তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম জানান, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পরিবর্তন হয়েছে আমরা জানতাম না। আগের পিপি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমরা পত্রিকায় খবর দেখে আজ আদালতে এসেছি।  

এর আগে কয়েক দফা পিছিয়ে যায় তিন্নি হত্যা মামলার রায়ের তারিখ।

জানা যায়, কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মডেল তিন্নির মরদেহ পাওয়া যায়। পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার।  

এরপর নিহত তিন্নির মরদেহের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় সেটি মডেল কন্যা তিন্নির বলে শনাক্ত করেন। পরে মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকই ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এরপর চার্জশিটভূক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

** অভিনেত্রী তিন্নি হত্যা মামলার রায় ১৫ নভেম্বর

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
কেআই/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।