পাবনা: পাবনার সাঁথিয়ায় রফিকুল ইসলাম (৩৪) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আহসান তারেক এ রায় দেন।
নিহত রফিকুল সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মহল্লার শাহজাহান আলীর ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাঁথিয়ার নন্দনপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের হাবিবর মুন্সির ছেলে ওয়াশিম মুন্সি (৪০), নন্দনপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মোস্তফা (৪১), গোবিন্দপুর গ্রামের খাজু মণ্ডলের ছেলে মিরাজুল ইসলাম (৪২) ও গোবিন্দপুর গ্রামের ফয়জাল হোসেনের ছেলে শাহাদুল শাহাদৎ (৩৯)। এদের মধ্যে রায়ের সময় শাহাদত ও ওয়াসিম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দু’জন পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর দুপুরে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পার্শ্ববর্তী সুন্দরকান্দি গ্রামে শ্বশুর আনছার আলীর বাড়িতে পরিবারসহ বেড়াতে যান রফিকুল ইসলাম। ঈদের আগের রাতে এলাকার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে তাকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যা করে একটি ধানক্ষেতে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান আসামিরা। পরদিন সকালে মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর রাতে ২৫-৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে সাঁথিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীকালে ২৩ জনের নামে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল হয়। ফোনের কল লিস্ট ধরে তদন্ত করে সবাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দীর্ঘ শুনানির পর হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। বাকি ১৯ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার বাবু, অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। সেখান থেকে দণ্ডপ্রাপ্তরা নিরপরাধ হিসেবে খালাস পাবেন বলে আশা করছি।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এই মামলায় অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় ওই চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন বাকি ১৯ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২২
এসআরএস