নড়াইল: নড়াইলে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে প্রতিবেশী চাচা লিয়াকত মোল্যাকে (৬৯) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
এছাড়া ধর্ষণে সহযোগিতার অপরাধে তার (লিয়াকত) স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে (৫৮) সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সানা মো. মাহ্রুফ হোসাইন এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত লিয়াকত মোল্যার পৈত্রিক বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া থানার বল্লামুখ গ্রামে। তবে তিনি পরিবার নিয়ে নড়াইল সদরে থাকতেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের শেষ দিকে লিয়াকত প্রতিবেশী ভাতিজিকে (১২) ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ২০২১ সালের ৪ মার্চ লিয়াকত গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য কিশোরীকে ওষুধ সেবন করান। এতে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বোড় বোন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় মেয়েটি জানায়, ছয়/সাত মাস আগে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে প্রতিবেশী চাচা লিয়াকত টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এতে তার পেটে সন্তান আসে। পরে এ ঘটনায় কিশোরীর বড় ভাই বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় ২০২১ সালের ৬ মার্চ লিয়াকত মোল্যাকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের নামে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।
সাক্ষ্য শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২২
এসআই