ঢাকা: প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ ও চাঁদা দাবির মামলায় আসিয়ান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নজরুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত বুধবার (৫ জানুয়ারি) সিআইডি পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার সিএমএম আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান ও বাদীপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মনির এ তথ্য জানান।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে আসামিদের পরোয়ানা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আলী হোসেন নামের এক ঠিকাদার ২০২১ সালের ৩ জুন আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আলী হোসেন মেসার্স আরিফ মোজাইক ওয়ার্কস নামের ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আলী হোসেন ৩ কোটি চার লাখ ২৪ হাজার ৭৮৫ টাকা পাওনাদার হন। আলী হোসেন সেই টাকার বিল দাখিল করলে আসামিরা তাকে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
বাকি এক কোটি ৪৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৫ টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন। আলী হোসেন টাকার জন্য আসামিদের একাধিকবার অনুরোধ করলেও তারা টাকা পরিশোধ করেননি।
সবশেষ ২০২১ সালের ৩০ মে বিকেলে আলী হোসেন আসিয়ান গ্রুপের এমডির অফিসে যান। পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বললে এমডি নজরুল ইসলাম তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এমডির নির্দেশে জাকির হোসেন তার সহযোগী ২-৩ জন আসিয়ান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার একটি রুমে ভুক্তভোগীকে নিয়ে যান। তার একটি মোবাইল, নগদ ২৮ হাজার টাকা, পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে চাঁদা দাবি করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) হারুন অর রশীদ।
গত ৮ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। বুধবার আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২২
কেআই/জেএইচটি