দিনাজপুর: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলার প্রধান আসামি সাইফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শরীফ উদ্দিন আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল জেলার পার্বতীপুর উপজেলার শিংগীমারী তকেয়াপাড়া (জমিরহাট) গ্রামের মৃত জহির উদ্দীনের ছেলে।
অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামি আফজাল হোসেন কবিরাজকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্ত আফজাল হোসেনও একই এলাকার বাসিন্দা।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট তৈয়বা বেগম জানান, করোনার কারণে রায় দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে।
শিশুর বাবা বাংলানিউজকে বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি চাই না, সেটা আর কারো মেয়ের সঙ্গে ঘটুক। এ রায়ে আমরা খুশি, তবে তার ফাঁসির আদেশ হলে আমি বেশি খুশি হতাম। আমার মেয়ে এখনও অসুস্থ। তাকে প্রতিনিয়তই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
গত ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর দুপুরে খেলতে বাইরে গেলে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় পাঁচ বছরের শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে রাতে পার্বতীপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মেয়টির বাবা।
পরদিন সকালে শিশুটিকে বাড়ির পাশের হলুদ ক্ষেত থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২০ অক্টোবর রাতে শিশুটির বাবা পার্বতীপুর থানায় সাইফুল ইসলাম ও আফজাল হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন। ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় মেয়েটিকে। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
এসআই