ঢাকা: নিজের শিশু সন্তানকে ধর্ষণ মামলায় ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রুমি।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্যাহ হিরু, মিজানুর রহমান মামুন, তানজির মান্নান জামিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদা আক্তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১ ডিসেম্বর নিজের চার বছরের কন্যা সন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন রুমির স্ত্রী।
মামলার এজাহারে বাদী বলেন, ২০১৬ সালের ২৬ জুন পারিবারিকভাবে ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমির (৩৫) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সংসার জীবনে বনিবনা না হওয়ায় গত বছরের ২৬ আগস্ট রুমির সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে।
রুমির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর গত বছরের ২৩ মার্চ বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় তার অনুপস্থিতিতে চার বছরের শিশুকন্যাকে উত্তরার বাসা থেকে নিয়ে যান রুমি। গত ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রুমি তার কন্যাকে কলাবাগানের বাসায় নিজের হেফাজতে রাখেন। শিশুটির মায়ের অভিযোগ, ওই সময় ফেরত চাইলেও তার কন্যাকে নিতে দেননি রুমি। পরে এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশে কন্যাশিশুকে নিজের হেফাজতে নেন তিনি।
গত ১২ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮টায় আবারও শিশুসন্তানটিকে নিজের কলাবাগানের বাসায় আনেন ইব্রাহিম রহমান রুমি। পরদিন ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে শিশুর মা কলাবাগান থেকে চার বছরের শিশুটিকে উত্তরায় নিজের বাসায় ফিরিয়ে আনেন। বাসায় আনার পর পরিহিত পোশাক পরিবর্তনকালে মেয়ের শরীরে নির্যাতনের ছাপ দেখতে পান তিনি। জানতে চাইলে সে বাবা কর্তৃক নির্যাতনের কথা জানায়।
এজাহারে বলা হয়, গত ২৩ মার্চ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর এবং ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিবাদীর বর্তমান ঠিকানার বাসায় অবস্থানকালে বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেন।
এরপর গত ২৭ নভেম্বর বিকেলে নিপীড়নের শিকার শিশুসন্তানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান তার মা। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শিশুটিকে ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) ভর্তির জন্য পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
কেআই/এমজেএফ